প্রাইভেসি :
প্রাইভেসি শব্দের মানে হল কেউ জানবে না আপনি কি করছেন। যেমন : আপনি যদি কোন ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন তাহলে আশেপাশের সকল মানুষজন দেখতে পারবে আপনি একটি ঘরের ভেতর প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সেই ঘরের ভেতর প্রবেশ করার পর আপনি কি করছেন সেটা কেউ জানতে পারবে না।
অনলাইনে ক্ষেত্রে প্রাইভেসি মানে হল কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করাকে বুঝায়। বা কোন একটি আইপিতে কানেক্ট হওয়াকে বুঝায়। ধরুন আপনি একটি ভিপিএন ইন্সটল করল। ভিপিএন এ কানেক্ট হওয়ার সময় আইএসপি এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক কন্ট্রোলাররা দেখতে পারবে আপনি ভিপিএন এ কানেক্ট করেছেন। কিন্তু ভিপিএন কানেক্ট করার পর আপনি কি করছেন সেটা তারা দেখতে পারবে না।
আইডি : দেখা যাবে
অ্যাকটিভিটি : দেখা যাবে না
অনোনিমিটি :
অনোনিমিটি এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ দেখতে পারবে আপনি কি করছেন কিন্তু তারা এটা দেখতে পারবেনা যে ঐটা আপনি ছিলেন। যেমন : একটি ঘরের ভেতর প্রবেশ করে যে কাজগুলো করবেন তার সবকিছুই আইএসপি ( ইন্টারনেট প্রোভাইড ) দেখতে পারবে। কিন্তু তারা এটা জানতে পারবেনা যে ওই ঘরের ভিতর ঢোকা ব্যক্তি আপনি ছিলেন। বিষয়টা এরকম, আপনি একটি মাস্ক পরিধান করে ঘরের ভেতরে ঢুকলেন এবং নিজের কাজেও সাধন করে বের হয়ে গেলেন। মাস্ক পড়ার কারণে কেউ আপনার চেহারা দেখতে পেল না। ফলে কেউ আপনাকে চিহ্নিত করতে পারবে না।
অ্যাকটিভিটি : দেখা যাবে
আমরা সবসময় গোপন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার চাই কিন্তু এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি কঠিন। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যেই রিসোর্স গুলো প্রয়োজন তার কোনো কিছুই আমাদের নিজেদের নয়। ইন্টারনেটে অ্যাক্সিস নিতে গেলে আমাদের অবশ্যই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সাহায্য নিতে হবে। এছাড়াও যে মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করব ( যেমন কোন ব্রাউজার ) এবং যে সার্ভারে থেকে আমরা ডাটা রিকুয়েস্ট করব তার সবকিছুই অন্য আরেকজনের। থার্ড পার্টি রিসোর্স ব্যবহার করার কারণে আমরা আমাদের তথ্যগুলো নিজেরা সংরক্ষণ করতে পারিনা।
যেমন আমরা যদি গুগল এ যেতে চাই তাহলে প্রথমে আমাদের কম্পিউটার থেকে রাউটারের মাধ্যমে আমাদের আইএসপি তে একটি রিকোয়েস্ট দিতে হবে। এখানে মাধ্যম হিসেবে ব্রাউজার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে আমাদের পাঠানোর রিকোয়েস্টটি ব্রাউজার দেখতে পারবে এবং একই সাথে আইএসপি নিজেও দেখতে পারবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো গুগলের প্রবেশ করার পর গুগোল আপনার অ্যাক্টিভিটি ট্রাক করতে থাকে। ফলে গুগল আমাদের সকল তথ্য এমনকি আমাদের লোকেশন সহ সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেয় যা আমরা দিতে চাই না।
অ্যানোনিমাস কিভাবে থাকা যায় :
গুরুত্বপূর্ণ কিংবা সেনসিটিভ তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অ্যানোনিমাস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এমনও হতে পারে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবলিকের সামনে প্রকাশ করার জন্য অ্যানোনিমাস থাকতে হয়। যেমন যদি কোনো সাংবাদিক কোন সেনসিটিভ বিষয় সংবাদ প্রকাশ করতে চায় তাহলে সে একটি গোস্ট প্রোফাইল ( ফেইক কিংবা মিথ্যা প্রোফাইল ) মাধ্যমে তার তড়িকৃত সংবাদটি জনগণের সামনে উপস্থাপন করবে এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সাংবাদিক এর নিজের আইডি এবং ব্যক্তিগত পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকবে।
অ্যানোনিমাস থাকার জন্য আমাদেরকে অ্যানোনিমাস ব্যবহার করা সার্ভিস এবং প্রাইভেট অনলাইন সার্ভিস নামক দুইটি সার্ভিস এর প্রয়োজন হবে। সারফেস ওয়েব ক্ষেত্রে অ্যানোনিমাস থাকা প্রায় অসম্ভব। আমাদের ব্যবহৃত জিমেইল, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য যেকোন তথ্য ইন্টারনেট ব্রাউজার কিংবা ওয়েবসাইটের মালিক যেকোনো সময় যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে। আর তাই সম্পূর্ণ অ্যানোনিমাস থাকার জন্য আমরা বেছে নিয়েছি ডার্ক ওয়েব কে।
অ্যানোনিমাস থাকার জন্য সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ কেউ একজন আপনার কম্পিউটার হ্যাক করলো। সে ক্ষেত্রে আপনি যতই অ্যানোনিমাস থাকার চেষ্টা করেন না কেন উপ হ্যাকার আপনার কম্পিউটারে থাকা সকল ডাটা দেখতে পারবে এবং নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। সিকিউরিটির ক্ষেত্রে আমরা আমাদের কম্পিউটার এর প্রত্যেকটি ফাইলকে আলাদা আলাদা ভাবে সেট করব এবং অত্যন্ত সিকিউর একটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করব। উক্ত বিষয়ে পরবর্তীতে আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।