Dark web এর Tor Browser Installation সিরিজের দ্বিতীয় পর্বে স্বাগতম। গত পর্বে আমরা জেনেছি Tor কিভাবে কাজ করে এবং একজন ইউজারের ডাটাকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখে। এই পর্বে আমরা জানবো টর সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয় বস্তু এবং কিভাবে টর নেটওয়ার্কের সাথে আমরা কানেক্ট হব। তবে প্রথমেই আমরা এর বেশ কিছু অসুবিধা সমূহ জেনে নেব।
Tor নেটওয়ার্কের অসুবিধা সমূহ :
সমাধানসমূহ :
২. সকল সিকিউরিটি ইস্যু সমাধান করার জন্য Qubes Whonix ব্যবহার করা। এটি একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম যা বাই ডিফল্ট Tor ইনস্টলেশন করা থাকে এবং আমরা যে কোন সময় এক্সেস করতে পারব
২. যেটা tor নেটওয়ার্ক দ্বারা ট্রাফিক পাস হয়।
৩. ফায়ারফক্সের সম্পন্ন pached ভার্শন।
৪. যেকোনো ওয়েবসাইট কিংবা ব্রাউজারের ইনসিকিউর ফিচার কিংবা প্লাগিন কে ব্লক করে দেয়।
৫. Https everywhere ব্যাবহার করে
৬. স্ক্রিপ্ট ডিসেবল করে নন স্ক্রিপ্ট প্লাগিন এর সাহায্যে
Tor Browser Installation ( Tor Browser ইন্সটল ) :
Tor Browser ইন্সটল করার জন্য আমাদেরকে বেশ সাবধানতা সহিত অনেকগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই ব্রাউজারটি কোনভাবেই বাংলাদেশে বৈধ নয় শুধুমাত্র সারফেস ওয়েবে ব্যবহার করতে চাইলে এটি বৈধ কিন্তু ডার্ক ওয়েব কিংবা ডীপ ওয়েবে ব্যবহার করতে চাইলে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ একটি ব্রাউজার হবে। এছাড়াও এই ব্রাউজারটি ব্যবহার করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে একটি পেইড এবং ট্রাস্টেড ভিপিএন সার্ভার ব্যবহার করতে হবে।
১. সর্বপ্রথম আমাদেরকে খুবই পাওয়ারফুল এবং লগ সেভ করে রাখে না এমন একটি ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে। এই কোর্সে টিটোরিয়াল এক্ষেত্রে আমি ওপেন ভিপিএন ব্যবহার করেছি।
২. নিম্নলিখিত লিংক থেকে সর্বপ্রথম ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। আপনি চাইলে ব্রাউজারটি ডাউনলোড করার সাথে সাথে ব্রাউজার টি ভেরিফাই করার জন্য এর সিগনেচার ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন (বর্তমান সময়ে সিগনেচার ফাইল তেমন কেউ চেক করে না। তাই আপাতত এই প্রসেস টি আমি দেখাচ্ছি না। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত ভিডিও আসবে )
৩. এরপর সাধারন সফটওয়্যার ইনস্টলেশন করার মতো এই ব্রাউজারটি ইন্সটল করতে হবে। আশা করছি কিভাবে একটি ব্রাউজার ইন্সটল করতে হয় সে বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা রয়েছে।
৪. ইনস্টল করার পর Tor Setting থেকে Tor নেটওয়ার্ক ব্রিজ পারমিশন নিয়ে হবে। সচরাচর কোন দেশ বা কোন আইএসপি যদি এই ব্রাউজারটি ব্লক করে রাখে তাহলে সেই ক্ষেত্রে টর সেন্সরশিপ নামক একটি অ্যাডভান্স পদ্ধতির মাধ্যমে Tor ব্রিজ রিকোয়েস্ট করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইএসপি কিংবা কোন দেশ সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট টা কে ব্লক করে রাখে। মেইল করলে তারা tor ব্রিজ ( Tor Bridge ) পাঠিয়ে দেবে। তাদের মেইল অ্যাড্রেস হলো : bridges@torproject.org
৫. Tor ব্রিজ রিকোয়েস্ট করলে একটি ক্যাপচা আসবে এবং ক্যাপচা পূরণ করলেই আপনি কাঙ্খিত ফাইলটি পেয়ে যাবেন টেক্সট আকারে।
৬. এরপর একটু নিচের দিকে যে এডভান্স সেটিং এ পোর্ট এ টিক দিয়ে দিতে হবে।
৭. সাধারণভাবে কানেক্ট এ ক্লিক করলেই ব্রাউজার টি ভেরিফাই করা শুরু করে দিবে। ভেরিফাই করা হয়ে গেলেই ব্রাউজারটি Tor নেটওয়ার্ক এর সাথে কানেক্ট হয়ে।
Tor Browser Installation Video :
বিশেষ দ্রষ্টব্য : যদি কানেক্ট হতে সমস্যা হয় তাহলে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনবার চেষ্টা করতে হবে। এরপরও যদি সমস্যা হতে থাকে তাহলে নতুন করে ব্রিজ রিকোয়েস্ট করতে হবে। এরপর ব্রাউজারটি কেটে আবার ওপেন করতে হবে। এর মাঝেই ব্রাউজার ব্যবহারের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের ক্ষতি হলে কিংবা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত সমস্যা হলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।