পাইথন সাধারণত কোন ওয়েবসাইট তৈরি, সফটওয়্যার তৈরি, অটোমেশন কাজের জন্য, ডাটা এনালাইসিস এবং ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা যেকোনো বৈজ্ঞানিক কার্যকর্ম কিংবা জটিল কোন হিসাবকে অনেক দ্রুততার সহিত সম্পন্ন করতে পারে এবং এটি যে কোন ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
পাইথন সাধারণত ওয়েবসাইট এবং সফ্টওয়্যার, টাস্ক অটোমেশন, ডেটা বিশ্লেষণ এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন বিকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এটি শেখা তুলনামূলকভাবে সহজ, তাই পাইথনকে অনেক নন-প্রোগ্রামার যেমন হিসাবরক্ষক এবং

পাইথন হলো একটি interpreted, object-oriented, এবং উচ্চ লেভেলের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যা যেকোনো ডায়নামিক এন্ট্রিকে হাই লেভেল ডাটা স্ট্রাকচারের কম্বাইন্ড করতে পারে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে পাইথন হলো একটি কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা যা আমাদের লেখা কোন কমান্ড কে পাইথন কম্পিউটারের মাধ্যমে এক্সিকিউট করে দেখায়। পাইথনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে লিখতে গেলে তা শেষ হবে না। তাই যতটুকু ছোট করে সম্ভব বলতে গেলে, আমাদের দেওয়া যে কোনো কমান্ড কম্পিউটার কে বুঝানোর জন্য পাইথন একটি ট্রান্সলেটর যা আমাদের ভাষাকে কম্পিউটারের বাইনারি ভাষায় পরিবর্তন করে কম্পিউটারকে বোঝায়।
পাইথন কারা ব্যবহার করে ?
বিজ্ঞানীদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে, বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজের জন্য, যেমন আর্থিক আয়োজন করা।
"প্রোগ্রাম লেখা একটি খুব সৃজনশীল এবং ফলপ্রসূ কার্যকলাপ," মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্সেরার প্রশিক্ষক চার্লস আর সেভারেন্স তার বই পাইথন ফর এভরিবডিতে বলেছেন৷ "আপনি আপনার জীবিকা নির্বাহ করা থেকে শুরু করে একটি কঠিন ডেটা বিশ্লেষণ সমস্যা সমাধান করা থেকে শুরু করে অন্য কাউকে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য মজা করা পর্যন্ত অনেক কারণে প্রোগ্রাম লিখতে পারেন।"
- ডেটা বিশ্লেষণ এবং মেশিন লার্নিং
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- অটোমেশন বা স্ক্রিপ্টিং
- সফ্টওয়্যার পরীক্ষা এবং প্রোটোটাইপিং
- প্রতিদিনের কাজ
এছাড়াও পাইথন দ্বারা আরো অনেক কিছুই করা যায় যা এখানে বলা হয়নি এগুলো আমরা কোর্স করার সময় আস্তে আস্তে দেখব।
পাইথনের ইতিহাস :
১. পাইথন প্রাথমিকভাবে 1991 সালে Guido van Rossum দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল এবং Python Software Foundation কোম্পানিটি এই প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল। ওই সময় পাইথন কে বোঝার সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং এর সিনটেক্স এর মাধ্যমে অল্প লাইনের মধ্যে অধিক প্রোগ্রাম করা সম্ভব হতো।
২. মূলত ১৯৮০ দশকে শেষের দিকে পাইথন তৈরি করা শুরু হয়েছিল এবং এটি একটি শখের প্রজেক্ট ছিল যা Guido van Rossum পরিচালনা করছিলেন। ১৯৮৯ সালে ডিসেম্বরে নেদারল্যান্ডে তিনি সম্পূর্ণরূপে পাইথন প্রজেক্ট এর উপর কাজ শুরু করেন। উল্লেখ্য যে ওই সময় ABC ল্যাঙ্গুয়েজ নামে একটি কোম্পানি পাইথন প্রজেক্ট এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।
৩. Guido van Rossum নিজেও ABC কোম্পানিতে কাজ করতেন যারা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে গবেষণা করতো এবং সিনটেক্স মূলত এদেরই তৈরি। এরপর Guido van Rossum তার গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে পাইথন নামক একটি প্রোগ্রামিং ভাষা প্রকাশ করেন। এবং এটি 1991 সালে জনসম্মুক্ষে প্রকাশিত হয়েছিল।
৪. ১৯৯১ সালে পাইথনের 0.9.0 রিলিজ হয়। এতে শুধুমাত্র ক্লাস ফাংশন, মডিউল এবং ডাটা টাইপ ছিল।
৫. ১৯৯৪ সালে পাইথন 1.0 রিলিজ হয় যাতে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং টুলস এবং কমপ্লেক্স নাম্বারের বেশ কিছু অ্যালগরিদম ছিল।
৬. ২০০০ সালে রিলিজ পায় পাইথন ২.০ যেখানে লিস্ট কম্পোরেশন, ইউনিকোড সাপোর্ট, আনক্লাসিফাইড ডাটা ক্লাস সাপোর্ট সহ আরো বেশ কিছু ফিচার থাকে।
৭. ২০০৮ সালে রিলিজ হয় পাইথন 3.0 যেখানে পাইথনের কোর ফাংশন পরিবর্তন করে প্রিন্ট ফাংশন নিয়ে আসা হয় এবং "স্ট্রিং এবং ইউনিকোড" কে আলাদাভাবে পরিচালনা করা হয় এছাড়াও এই ভার্সনের র ইনপুট ফাংশন কে নিয়ে আসা হয়।
৮. ২০২০ সালে রিলিজ হয় পাইথন ৩.৯ যেখানে পাইথনের ডিকশনারি সহ আরো বেশ কিছু স্ট্রিম মডিউল পরিবর্তন করা হয় এছাড়াও বিল্ড ইং লাইব্রেরিও নিয়ে আসা হয় পাইথনের এই ভার্সনে যা বড় বড় ডাটা কোম্পানি এবং মেশিন লার্নিং কে আরো অনেক সহজ করেছে।