এসইও এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা অনলাইনে থাকা কোন ওয়েবসাইট কিংবা কোন ব্লগ আর্টিকেল অথবা কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট কে গুগল রেংক এর মাধ্যমে গুগলে প্রথম পেইজে নিয়ে আসতে পারি। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ওয়েবসাইটের সেলস অনেক গুনে বৃদ্ধি করতে পারি।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে আমাদের কে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের দ্বারস্থ হতে হয়। যেমন ধরি আমাদের একটি কোম্পানি আছে যেটি কেউ জানে না সেটিকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে হলে এবং মানুষজনকে জানাতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধুমাত্র কোন আর্টিকেল নয়, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সেলস পেইজ, সার্ভিস ওয়েবসাইট সহ সকল ধরনের ওয়েবসাইট কে আমরা অপটিমাইজ করে গুগলের প্রথম ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারি।
কেন এসইও গুরুত্বপূর্ণ :
গুগলের প্রথম পেজে আমাদের কোম্পানিকে নিয়ে আসার দুইটি উপায় রয়েছে। একটি হলো এইট যেটা টাকা দিয়ে কিনতে হয় এবং আরেকটি হল অর্গানিক যেটা অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে নিয়ে আসা সম্ভব। বিশেষভাবে দেখা যায় যেগুলো পেইড এবং টাকা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর রেংকিং থেকে নিচে চলে যায়। অর্থাৎ টাকা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের যে ওয়েবসাইটটি গুগলের প্রথম পেইজে দেখানো হয়েছিল সেটি ওই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে গুগল আর তাদের প্রথম পেজে দেখাবে না।
কিন্তু অর্গানিকভাবে বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে যে আর্টিকেলটি বা যেই ওয়েবসাইটটি আমরা গুগলের প্রথম পেইজে নিয়ে এসেছি সেটা সব সময় গুগলের প্রথম পেজে থাকবে। এক্ষেত্রে আমাদের কোন টাকা পয়সা খরচ করার কোন প্রয়োজন পড়ে না।
অর্গানিক ট্রাফিকে আমাদের কানেকশন অনেক বেশি হয় অর্থাৎ আমরা মানুষজনের সাথে কমিউনিকেশন অনেক সুন্দর ভাবে করতে পারি কেননা মানুষ যেটা চায় সেটাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে রেখেছি। অর্গানিক ট্রাফিক ঠিক এভাবেই আসে যেটা মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে। আর তাই পেট ভার্সন থেকে অর্গানিক ট্রাফিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এসইও কিভাবে কাজ করে :
আমাদের এই বিশ্বে প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকগুলো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যারা আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্যগুলোকে ইউজারদের সামনে নিয়ে আসে। যেমন ধরুন আমি যদি এখন পাইথন লিখে গুগলে সার্চ করি তাহলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন আমাকে পাইথন সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল ওয়েবসাইট গুলো আমার সামনে এনে দিবে। সেখান থেকে আমি যে কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আমার কাঙ্খিত তথ্যগুলো আমি জেনে নেব।
এখানে গুগল সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছে এবং গুগল পাইথন সার্চ দেওয়ার ফলে যে ওয়েবসাইট গুলো সামনে নিয়ে এসেছে সেগুলো অপটিমাইজ করা এবং সেগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য দেওয়া রয়েছে যা একজন ইউজার জানতে চায়।
ঠিক এভাবে গুগল ছাড়া আরও অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেমন bing , yendex, ask ইত্যাদি। একটি ওয়েবসাইটে কিংবা ওয়েব পেজে পাইথন রিলেটেড কি পরিমাণ তথ্য আছে এবং সেগুলো কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তার উপর ভিত্তি করে এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো সেই সমস্ত ওয়েবসাইটকে তাদের প্রথম পেজে নিয়ে আসে এবং ইউজারের সামনে প্রকাশ করে। আর তাই তথ্যবহুল এবং অপ্টিমাইজ ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
যে সমস্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে গুগল ওয়েবসাইটকে প্রথম লেভেলে নিয়ে আসে :
১. ডোমেন লেভেল
২. লিংক লেবেল
৩. গুরুত্বপূর্ণ কি ওয়ার্ড
৪. কি ওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কিত কনটেন্ট
৫. পেইজ লেভেল অথরিটি
৬. বাউন্স রেট
৭. ইমেজ অপটিমাইজেশন
৮. ব্যাক লিংক
৯. এনগেজমেন্ট ও ট্রাফিক ডাটা
১০. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যাট্রিক্স
এছাড়াও google এ প্রায় ২০০ টি ফ্যাক্টর রয়েছে যেগুলো বিবেচনা করে গুগল একটি ওয়েবসাইটকে তাদের প্রথম পেজে নিয়ে আসে। তবে কমন যেই ফ্যাক্টর গুলো চেক করা হয় সেগুলো হলো :-
১. অন পেজ এসইও
২. অফ পেজ এসইও
৩. টেকনিক্যাল এসিও
৪. সাইট ম্যাপ
৫. সাইট রোবট
৬. লোকাল এসিও
৭. ট্রাফিক
৮. অপটিমাইজেশন
একজন SEO এক্সপার্ট প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার ডলার ইনকাম করে।
আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করছে যা যা শিখব তা নিচে লিস্ট আকারে দেওয়া হল :